দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তালেবান। ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়েছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গুটিয়ে নিলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে দূতাবাস খোলা রাখার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে দেশটি আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে। সোমবার কাবুলে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপপ্রধান আবদুল সালাম হানাফি।

বৈঠক সম্পর্কে তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম বলেন, গতকাল চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন আবদুল সালাম হানাফি। তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাষ্ট্রদূত ওয়াং আফগানিস্তানে চীনের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন বলেও জানান তালেবান মুখপাত্র। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে চীনের অবস্থান সামঞ্জস্যপূর্ণ ও স্পষ্ট।

ওয়াং ওয়েবিন বলেন, আমরা সব সময় আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শ্রদ্ধা করি। আফগান জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের জাতীয় অবস্থার উপযোগী উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার বিষয়কে আমরা সমর্থন করি। এর আগে তালেবানের শীর্ষ নেতা আব্দুস সালাম হানাফি চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ জিয়াংহাওয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।